রোকসানা আকতার পেশায় একজন আইনজীবী হলেও যুক্ত রয়েছেন রাজনীতির সাথেও তিনি চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক ।

২০০৯ সাল থেকে নিজের একক প্রচেষ্টায় নারী অধিকার, নারী ক্ষমতায়ন, নির্যাতিত নিপীড়িত আর্থিক অসচ্ছল ভুক্তভোগীদের বিনা মূল্যে আইনি সেবা দিয়ে আর্তমানবতার সেবায় ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। মূলত তিনি স্কুল জীবন থেকে প্রথমে নিজ এলাকায় মানবিক কার্যক্রম শুরু করেন। এলাকায় বসবাসরত দুস্ত ,অসহায়, নির্যাতিত পরিবারদের খুজে বের করে তাদের পাশে মানুষের দাড়ানোর নেশায় একসময় মানুষের পাশে থাকতে আত্মপিড়ীত মানুষের সাহায্য করা সনির্ভর করার ইচ্ছায় নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত করা, ২০০৯ সাল থেকে আইন জীবি হবার পর তার সে আশা পরিপূর্ণতা পায়। নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে মানুষের সেবক হিসাবে নিয়োজিত করেন কারণ মানুষের সেবা করতে এবং মানুষের কাছে যেতে হলে আইনজীবি ছাড়া কোন পেশায় সম্ভব নয়। আইনজীবি এমন একটি পেশা যা মানুষের খুব কাছে নিয়ে যায়, মানুষকে বুঝা যায়, অসহায়দের পাশে দাড়ানো যায়। এভাবে ২০০৯ থেকে শুরু করে আজ অব্দি তিনি চলমান মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার তার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।

তিনি জনতার চট্টগ্রামকে বলেন, রাষ্ট্রের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা নিজেদের সামাজিক দায়বদ্ধতাকে এড়াতে পারি না। আমাদের সহযোগিতার কারণে হয়ত কিছু অসহায় মানুষ তার পথ চলার রাস্তা খুঁজে পাবে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এর মাধ্যেমে ভবিষ্যত প্রজন্ম নিজেকে যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে । আমরা যদি নতুন প্রজন্মকে বুঝাতে পারি মানবের সমাজ মানেই মানবতার সমাজ নয়। মানবতার সমাজ গড়তে হলে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদকমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা হৃদয়ে লালন করার পাশাপাশি উঠতি বয়সের যুবক-যুবতীদের নানা অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে বই পড়ার অভ্যাস বাড়ানো, খেলাধুলা এবং সুস্থ সংস্কৃতির চর্চার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। “কাজের মাধ্যমে শিক্ষা” স্কুল কলেজে অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রী বা যুব শ্রেণীর প্রতিনিধিদের জানাতে হবে আমরা শুধু নিজের কথা চিন্তা করি। আমরা প্রতিবেশীদের খোঁজ নেই না। এই মনোবৃত্তি থেকে আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি ২০১৪ সাল থেকে পুরোদমে নারী অধিকার, নারী ক্ষমতায়ন, নিপীড়িত নির্যাতিত মেয়েদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ট্রমার ট্রেনিং’র মাধ্যমে পথ দুর্ঘটনা, আগুন লাগা, পুড়ে যাওয়া, হিংস্রতা, নারী, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন। এরকম বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত মানুষের চিকিৎসা ও সেবায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর ছাড়াও কক্সবাজারেও কাজ করে যাচ্ছেন। বন্দর ইপিজেড পতেঙ্গা এলাকাতে শিল্পকারখানা থাকায় এখানে নারী শ্রমিকদের বিশাল একটি অংশ রয়েছে। পারিবারিক শালিশী বৈঠক,বাল্যবিবাহ ,নির্যাতিত নারীদের আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সেল গঠন করার পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে হেল্পলাইন সেন্টার খোলা পরিকল্পনা রয়েছে তার। শুধু নারী নয় সমাজে নির্যাতিত পুরুষদের বিষয়ে তিনি দাঁড়াতে চান তিনি। শিশুদের মেধা বিকাশে এবং সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে রয়েছে ভিন্ন পরিকল্পনা। এ পর্যন্ত তিনি শতাধিকের বেশি আর্থিক অসচ্ছল ভুক্তভোগীদের বিনা মূল্যে আইনি সেবা দিয়ে গেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।