সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাস দমনের আওতায় এনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) দেশব্যাপী বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত গণ-অনশন, গণ-অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুষ্পষ্ট নির্দেশনার পরও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অবহেলা করেছেন এবং যেসব জনপ্রতিনিধি সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় এগিয়ে আসেননি, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান এই নেতা।
রানা দাশগুপ্ত শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালীন দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের একজন সদস্যকে সরকারি চাকরি, ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দানসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। দুর্গাপূজায় মণ্ডপ ও মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, ঘরবাড়িতে লুটপাট এবং হত্যার প্রতিবাদে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সারা দেশে এ কর্মসূচির ডাক দেয়।
গণ-অবস্থান থেকে পূজা উদ্যাপন পরিষদ ঘোষিত আগামী ৪ নভেম্বর শ্যামা পূজায় দীপাবলি উৎসব বর্জন ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে মন্দিরে অবস্থান, মন্দির-মণ্ডপ ফটকে কালো কাপড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাবিরোধী শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার টাঙানোর প্রতিবাদী কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
সমাবেশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে এসব দাবির সমর্থনে চলো চলো ঢাকা চলো শীর্ষক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পরিষদের নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত বলেন, ৭৪ বছরে এই প্রথম সংখ্যালঘুরা রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই ঐক্য এগিয়ে নিয়ে অধিকার আদায় করতে হবে। নির্যাতনের বিচার করতে হবে।
ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী বলেন, বিচারহীনতার কারণে সাম্প্রদায়িক ঘটনা মাথাচাড়া দিয়েছে। অতীতের সহিংসতার বিচার এখনো হয়নি। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।