নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় এম এল আশরাফ উদ্দিন নামে যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে গেছে। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার ফায়ার সার্ভিস থেকে ডুবুরিরা নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছে। তবে ওই লঞ্চে মোট কতজন যাত্রী ছিল এখনও সঠিক হিসাব পায়নি ফায়ার সার্ভিস। তারা জানতে পারে ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বাকিরা সাঁতার কেটে তীরে উঠেছেন।

রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বড় একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে। সূর্যের আলো যতক্ষণ আছে ততক্ষণ পর্যন্ত ডুবুরিরা কাজ করবে। বাকিটা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চে কতজন যাত্রী ছিল এখনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আমরা লোক মুখে জানতে পেরেছি ৫০ জনের মতো হতে পারে। এদের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। বাকিরা সাঁতার কেটে তীরে উঠেছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই লঞ্চের যাত্রী মোহাম্মদ জনি বলেন, একটি কার্গোবাহী জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তেই যাত্রীবোঝাই লঞ্চটি ডুবে যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।