লালদিয়া চর উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা আগামীকাল (২৫ ফেব্রুয়ারি) থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ উচ্ছেদের বিপরীতে অবস্থান নেয় লালদিয়া চরে ঠাঁই নেয়া বাসিন্দারা। ২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার এক মানববন্ধনে লালদিয়াবাসী দাবি করেন পুনর্বাসন ছাড়া লালদিয়ার চর ছাড়বে না ১৪শ’ পরিবার।
জানাযায় ১৯৭২ সালে বিমান ঘাঁটি সম্প্রসারণের কারণে এলাকা ছেড়ে লালদিয়ার চরে বসতি স্থাপন করে স্থানীয়রা। স্থায়ী বন্দোবস্তের কথা থাকলেও তা পায়নি লালদিয়ার বাসিন্দারা। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের একটি রিট আবেদন করে। কিন্তু এর বিপরীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী লালদিয়ার চরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শিগগির অভিযান পরিচালনা করার উদ্যেগ নেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সময়ে লালদিয়া চরে ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ভূমি ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দীন বলেন, আগামীকাল লালদিয়া চরে উচ্ছেদ অভিযানের পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে আমরা তা স্থগিত করেছি। পুলিশের অনুরোধ এবং সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে আগামী পহেলা মার্চের দিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার করার কথা ভাবছি।
এদিকে, বুধবার বিকেলে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে লালদিয়ার চর উচ্ছেদ প্রসঙ্গে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, লালদিয়ার চরের বসবাসকারিরা অধিকাংশই ভাড়াটিয়া। বন্দরের জায়গায় যারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছেন সেই সকল স্বার্থান্বেষীদের লোকজনের তালিকা করা হয়েছে।উচ্ছেদ চলমান প্রক্রিয়া। এতদিন বন্দরের প্রয়োজন না হওয়ায় তাদের এখানে বসবাস। সেই সুযোগ এখন আর নেই।