আয়েশা বেগম ১৯৮৩ সালের নভেম্বরে সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। মাত্র ১১ বছর বয়সে টিউশুনি দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে তিনি এসএসসি পাশ করার পর থেকেই মানবতার কল্যাণে প্রথমে সন্দ্বীপ উপজেলার মগধরার নিজ এলাকায় সামাজিক কর্মকার্ন্ডের সাথে যুক্ত হয়ে পরেন। ১৯৯৯ সালে এইচএসসিতে অধ্যায়নরত কালে মগধরা হাজরা ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন।
পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বুটিকের কাজ শুরু করনে। আয়েশা বেগমের প্রবল মনোবল ও ইচ্ছে ছিলো নিজেকে একজন স্বাবলম্বী নারী হিসাবে গড়ে তোলার। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য তিনি নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে গেছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা পেশায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের জন্য তিনি সন্দ্বীপের উপজেলার মগধরা এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেন। এভাবে এক সময় ডিগ্রী পাশ করার পর চলে আসেন বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রামে আসার পরও থেমে থাকেননি তিনি, দেশ ও জাতির উন্নয়ন,সমাজের পরিবর্তন, পিছিয়ে পরা নারীদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে একের পর এক সভা,সেমিনার ও আলোচনার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করেছেন।
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সন্ধানী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে কাজের মাধ্যমে অনেক পরিবারকে বীমার আওতায় এনে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থিক নিশ্চয়তা, নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অবহেলিত মানুষকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে মানবাধিকার সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
আয়েশা বেগম চাটগাঁর সংবাদকে জানান, দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি, দেশ ও সমাজের প্রতি আমাদের প্রতিটি নাগরিকের দায়বদ্ধতা রয়েছে। আমরা যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য ভাল কাজগুলো করে যেতে পারলে সমাজ থেকে অসামাজিক কর্মকান্ড,জঙ্গীবাদ,সন্ত্রাসবাদ,মাদক,জুয়া, নির্মূল করা সম্ভব। এজন্য ভালো কাজের মাধ্যমে সমিাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মানবাধিকার সংগঠনের সাথে কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, একজন মানুষের দায়িত্বে বহিরেও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে আমি অধিকার বঞ্চিত,ভুক্তভোগী মানুষগুলোকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটাতে পারলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে। তিনি আরো জানান,আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন । যত দিন বেঁচে থাকবো ততো দিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো