স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বাধীনতা যুদ্ধের অকুতোভয় বীর সেনানী বীর বিক্রম আব্দুল মান্নানের সমাহিত স্থান চিহ্নিত করা গেলেও তা অবহেলিত।

গত ২৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহাফুজুর রহমানের নেতৃত্বে আব্দুল মান্নানের চিহ্নিত অবহেলিত কবর পরিদর্শন শেষে ওখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এই সময়ে উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগীতার অঙ্গীকার করেন আব্দুল মান্নানের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের প্রতিবেশী লেখক-সংগঠক খন রঞ্জন রায়,সুপারেনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো.কামাল উদ্দিন ,উক্ত অপারেশনের ডেপুটি টিম লিডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সৈয়দ, সাংবাদিক দেবদুলাল ভৌমিক , বিদ্যুত বড়ুয়া, ধনরঞ্জন বড়ুয়া, জয়নুদ্দীন জয় প্রমুখ।

আব্দুল মান্নানের অবহেলিত কবর পরিদর্শন কালে বক্তারা বলেন,মদুনাঘাট বিদ্যুত কেন্দ্র উড়িয়ে দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর মনোবলে বিপর্যস্ত আতংক সৃষ্টি করে বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত হয় পুলিশ বাহিনীর এই আব্দুল মান্নান। প্রতিপক্ষের সাথে গোলাগুলিতে আহত হয়ে তিনি আবুরখিল গ্রামে ক্যাম্পে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তৎকালীন ফ্লাইট লেফ্ট্যানেন্ট পরবর্তীতে এয়ার মার্শাল ও বিমান বাহিনী প্রধান সুলতান মাহমুদের ইমামতিতে গোপনে জানাজার শেষে তাকে আবুরখিল গ্রামের ঢাকাখালী খালের জঙ্গলাকীর্ণ পাড়ে সমাহিত করা হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।