বিদ্যুৎ বিহীন,পানি বিহীন আমরা মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। পুনর্বসান ছাড়া উচ্ছেদ হলে আমরা সর্বস্ব হারাবো। পরিবার নিয়ে পথে নামতে হবে আমাদের। পুনর্বসান ছাড়া উচ্ছেদই কি মুজিববর্ষের উপহার ? নদী রক্ষায় রায় হয়, মানুষ রক্ষায় নয় কেন ? এভাবে নানা দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড, পোস্টার, ব্যানার হাতে ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে দক্ষিণ পতেঙ্গার বিমানবন্দর সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেছে লালদিয়ার চরের হাজারো বাসিন্দারা।

বিগত ৪৮ বছর আগে সরকারকে নিজেদের ভিটা মাটি ছেড়ে দিয়ে লালদিয়ার চর এলাকার ২ হাজার ৩০০ পরিবার এখন নিঃস্ব। তাদের থাকার জায়গার ব্যবস্থা না করে এভাবে উঠিয়ে দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ভবন নির্মাণ করে দিয়ে যেখানে প্রধানমন্ত্রী মানবিকতার বহিঃ প্রকাশ ঘটিয়েছেন, সেখানে এ চরবাসিদের সামান্য থাকার জায়গা ব্যবস্থা করে দেওয়া সরকারের পক্ষে কোনো বিষয় না। আমরা এ জনবসতি উচ্ছেদ না করতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

৪১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ছালেহ আহমদ চৌধুরী বলেন, চর এলাকার লোকজন খুবই গরীব। উচ্ছেদ করলে ভাড়া বাসায় যাওয়ার মতো সামর্থ্য পরিবারগুলোর নেই। তাদের উচ্ছেদ না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। তবুও যদি কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ করতে আসে তাহলে লালদিয়ার চরবাসি ওইদিন বিমানবন্দর সড়কে শুইয়ে থাকবে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, মহিলা কাউন্সিলর শাহানুর বেগম, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম টেন্ডল, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল গফুর, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়মী লীগ সদস্য রোটারিয়ান হাজী মো. ইলিয়াছ, আ.লীগ নেতা সিরাজুদ্দৌলা, আলমগীর আলম, আবদুল হালিম, জামাল উদ্দিন, ওয়াহিদ হাসান, আবুল হোসেন, শাকিল হারুন, জাবেদ হোসেন, জাকারিয়া দস্তগীর, নুরুল আজম রনি, ওয়াহিদুল আলম চৌধুরী, আবদুল কাদের প্রমুখ। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ এলাকার জনসাধারণ।

এলাকাবাসীর দাবি ২০০৫ সালের ১২ জুলাই লালদিয়ার চরের প্রায় ৫০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। ২০১৯ সালেও লালদিয়ার চর আরও কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হয়। কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ ছাড়াই আগামী ২৫ তারিখে তাদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়টি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হলে স্থানীয় মাঝে তৈরি হয়েছে উচ্ছেদ আতঙ্ক।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।