চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেছেন, জাতীয় চারনেতা কারাগারে জীবন উৎসর্গ করে দেশপ্রেম ও আদর্শের পরীক্ষা দিয়েছে। স্বজাতি ও জাতির পিতার সাথে তারা বেঈমানি করেনি। জাতীয় চারনেতা সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অবিচল থেকে ইমানি পরীক্ষার দৃষ্টান্ত দুনিয়াতে রেখে গেছেন।

জননেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, এম. মনসুর আলী, ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান দেশের শ্রেষ্ঠ বীর। তিনি বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে, জাতীয় চারনেতার নাম দেশপ্রেমিকের ইতিহাস স্বর্ণোজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তিনি প্রজন্মকে তাদের আত্মত্যাগ স্মরণে রেখে জীবন গড়ার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ৬ নভেম্বর শনিবার বিকেল বন্দর ১২নং সড়কের রাসেল স্মৃতি সংসদ মিলনায়তনে ‘জেলহত্যা দিবস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ আহ্বান জানান।

সাবেক ছাত্রনেতা মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদের সভাপতিত্বে এবং রাসেল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাওনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম ‘জেল হত্যা’র উপর তার নিজ লেখা একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এতে আলোচনা করেন চবি প্রাচ্য বিভাগের প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেদওয়ানুল হক, আমির হোসেন, সাইফুর রহমান স্বপন, শওকত হোসেন জগলু, ফারুক আহমদ, মোসলেহ উদ্দিন শিবলী, সৈয়দ মেজবাউল ইসলাম, নুরুল আমিন, রাশেদুল হাসান, আমজাদ হোসেন দিদার, ফররুক আহমেদ পাভেল, গোলাম সামদানী জনি, অমিতাব চৌধুরী বাবু, রাজিবুল হক রাজিব, খুরশেদ আলম বাদশা, রাহাত ইমরান, তুষার ধর, মেহেদী হাসান মজুমদার, জুবায়ের আহমেদ, শান্ত বড়ুয়া, হৃদয় ও তারেক সহ অন্যরা।

আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুর রহিম বলেন, জেল হত্যা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের নীল নকশার বাস্তবায়ন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর এর হত্যাকা- পরিকল্পিত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশের চক্রান্ত। তিনি হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গী-সন্ত্রাসী তৎপরতা চিরতরে রুখতে সকল মহলের ঐক্য কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।