চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং সৈকতের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পুনর্বাসন ও সৈকতের মূল ফটক খুলে দেওয়ার দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে সৈকতের ৫ শতাধিক দোকান মালিক ও কর্মচারী এবং স্থানীয় জনতা অংশগ্রহণ করে। আজ শনিবার ২৮ মে সকালে সৈকতের মূল জায়গায় অনুষ্ঠিক সমাবেশ থেকে এ সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী উল্লেখ করে অবিলম্বে বাতিল না করলে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমবায় সমিতি ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক পুনর্বাসন কমিটির আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল আলম মাস্টার।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক পুনর্বাসন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ৪১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন পতেঙ্গা বিচ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি ওয়াহিদ হাসান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মুসা আলম, আবদুল্লাহ আল মামুন, শাকিল হারুন, মানবাধিকার কর্মী আবদুল আজিজ, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আহমেদ, শেখ আহমেদ সাগর, জামাল উদ্দিন, আবদুল হালিম, তাজুল ইসলাম, আবদুর রহিম, আবদুল মজিদ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের করার কথা বলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সৈকতের ৬ কিলোমিটার এবং সাগরপাড়ের ৩৫ একর দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিডিএর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সমুদ্র সৈকতের মালিক সিডিএ নয়। আমাদের এভাবে নি:স্ব করার অধিকার সিডিএর আছে বলে আমরা মনে করি না। ভিটেমাটি, জীবন দিয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছি আমরা, সী-বিচকে জমজমাট করেছি আমরা। তাই সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই- অনতিবিলম্বে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক আমাদের পুনর্বাসন করা হোক এবং সী-বিচ বেসরকারি ঠিকাদারদের কাছে ইজারার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।

বক্তারা আরও বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আল্লাহর দান। দেশের প্রতিজন নাগরিক মুক্তভাবে এটা উপভোগ করার অধিকার রাখেন। সী-বিচে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়ভার বহন করা বর্তমান সিডিএ বা সরকারের জন্য কোন ব্যাপার নয়। সী-বিচকে আজকের মনোরম বিনোদন কেন্দ্রের পর্যায়ে আনার কার্যক্রমে ইতোমধ্যে সর্বস্ব হারিয়ে আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, তাই ব্যয়ভারের অযুহাত দেখিয়ে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত না করার বিনীত আবেদন জানাই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।