আসন্ন কোরবানিকে সামনে রেখে পতেঙ্গায় কমল মহাজন হাটে পর্যাপ্ত পরিমান কোরবানির পশু না থাকায় কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে বলে দাবি করেন ইজারাদার মমতাজ উদ্দিন। ১ কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে চসিক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের কাছে গত ২৮ জুলাই আবেদন করেন ইজারাদার মমতাজ উদ্দিন। কোরবানী পশুর হাটটি বসার কথা ছিল বিমান বাহিনী জহুরুল হক ঘাটির পাশে। ইজাদাররা পশু বিক্রয়ের লক্ষে পরিবেশ তৈরীতে ঐ স্থানে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলে । বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ ঐ জায়গায় পশুর হাট বসতে দিতে অপরাগ প্রকাশ করলে, ইজারাদার মোঃ মমতাজ উদ্দিন চসিক মেয়র বরাবর ১,৪০,০০০০০ লক্ষ টাকা ফেরত আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসাররা বিমান বাহিনীর কর্তৃপক্ষের সাথে অালোচনা করে পশুর হাটটি গার্ড রুমের পূর্ব দিক হতে বসানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। পশু হাটের জন্য যে জায়গা দেওয়া হয়েছে তাতে পর্যাপ্ত পশু রাখা যাবেনা এমটা দাবি ইজাদারদের। বিমান বাহিনী কর্তৃ পশু হাটটি অপসারণ করার ফলে কোটি টাকা লোকসানের শঙ্কায় ইজারাদার মমতাজ উদ্দিনের। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কমল মহাজন হাটে আসা গরু বেপারিদের জোর করে পথ আটকে হুমকি দিয়ে কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী মহল গরু গুলো তাদের হাটে নিয়ে গেলে আমরা পশু সংকটে পড়ে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত হই। তিনি আরও বলেন, অনেক আশা নিয়ে আমরা ৫০ জন গরুর বাজার ইজারা নিয়েছি। ইজারা নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আমাদের ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু আমাদের গরু রয়েছে প্রায় ১২৫৪টি। শেষ সময়ে আমাদের হাতে কোন গরু নেই আসন্ন কোরবানির পশুর বাজারে আমাদের চরম লোকসান হবে। এ লোকসান কিভাবে কেটে উঠবো বুঝতে পারছিনা তাই ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে চসিক মেয়রের নিকট আবেদন করেছি। উল্লেখ্য কমল মহাজন হাটের ইজারা মূল্য ৯৬ লাখ টাকা এবং অগ্রীম ৫% আয়কর ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ১৫% ভ্যাট ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৫% পরিছন্ন জামানত ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকাসহ খরচ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া গরুর বাজারে ১৮০জন সেচ্ছাসেবকদের বেতনসহ বিভিন্ন ভাবে খরচ ২০ লাখ টাকা সর্বমোট ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে বাজারে ১২৫৪টি গরুর এসেছে যা বিক্রির করার পর হাসিল ৩৫০০ টাকা করে হলে আদায় হবে ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কিন্তু ইজারাদারদের ঘাটতি থাকবে প্রায় ১ কোটি টাকা।Chat Conversation EndType a message…