চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সাগর পাড়ের ঐতিহ্যবাহি মহাবারুণী ও গঙ্গাস্নান ঘাট পরিদর্শনে করেছেন ঢাকা রমনা কালি মন্দিরের উপদেষ্টা ও জাগো হিন্দু পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মিলন শর্মা। শনিবার (২৬ ফেব্রয়ারি) সকাল ১১টায় তিনি ঘাট পরিদর্শনকালে তিনি ঐতিহ্যবাহি মহাবারুণী ও গঙ্গাস্নান কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা এ সময় ঘাটে সনাতন সম্প্রাদয়ের ধর্মীয় বিষয়াদি ও নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
পরিদর্শনকালে ঢাকা রমনা কালি মন্দিরের উপদেষ্টা ও জাগো হিন্দু পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মিলন শর্মা বলেন, পতেঙ্গা জেলে পাড়া গঙ্গাস্নান ঘাট হিন্দু ধর্মালম্বীদের অস্বিত্ব ও ঐতিহ্য। এটি অন্তত ২০০ বছরের ইতিহাস। কিন্তু একটি চাঁদাবাজ চক্র এই অস্বিত্ব ও ঐতিহ্যকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এই চাঁদাবাজ চক্রটা কয়েক মাস ধরে জেলে সম্প্রদায়ের তিনশ পরিবারকে জিম্মি করে দিনের আলোতেই ছিনিয়ে নিচ্ছে কষ্টে অর্জিত মাছ। জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন অত্যাচারে শিকার হচ্ছে। অথচ এই ঘাটটি জেলেদের বাপ-দাদাসহ পূর্ব পুরুষষের স্মৃতি ও অস্বিত্বের ঘাট। মিলন শর্মা আরও বলেন, ‘এদেশ আমাদের জন্ম, এদেশে আমাদের শিক্ষা, এই দেশ আমার মায়ের দেশ, এই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ, এদেশেই আমাদের মৃত্যু হবে। আমরা সংখ্যালঘু না। সংখ্যালঘু তারাই, যারা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেন এবং হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালান। তিনি বলেন, সরকার হিন্দুদের পাশেই আছে। কোন উস্কানিদাতা অতীতে বাঁচতে পারেনি। এদেশে কোন চাঁদাবাজ জার্সি বদল করেও প্রশাসন থেকে বাঁচার কোন রেকর্ড নেই। যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের পাঁয়তারা চালাচ্ছে তারা কখনোই কারোর বন্ধু নয়, এরা সমাজের কাছেও চিহ্নিত। এরা দেশ ও জাতির শত্রু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পতেঙ্গা সার্বজনীন মহাবারুণী—গঙ্গাস্নানঘাট কমিটি প্রধান উপদেষ্টা আয়ান শর্মা, সংগঠনের সভাপতি সোনা বাবু জলদাশ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল জলদাশ, সহ সভাপতি পান্না জলদাশ, যুগ্ম সম্পাদক কাঞ্চন জলদাশ, অর্থ সম্পাদক পরিমল জলদাশ, প্রচার সম্পাদক কিরণ জলদাশ, শান্তি মোহন জলদাশ, কাননবাঁশী জলদাশ, ঠাকুর দাশ, পান্না জলদাশ, সুব্রত জলদাশ, সঞ্জিত জলদাশ, সুভাষ জলদাশ, প্রকাশ জলদাশ, মাদল জলদাশ, সজীব জলদাশ প্রমুখ।