ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা কালী মন্দিরের উদ্বোধন গত ১৭ ডি সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ও তার পরিবার ঐতিহাসিক রমনা কালী মন্দিরের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাগো হিন্দু পরিষদ ও রমনা কালী মন্দিরের উপদেষ্টা মিলন শর্মাসহ মন্দির কমিটি ও ভক্তবৃন্দ।
জানাযায় ,স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রায় ৫০ বছর পর পুরানো অবয়বে ফিরে পেয়েছে ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা কালী মন্দির। বহু ইতিহাসের সাক্ষী, ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা কালী মন্দিরের নতুন ভবন ও সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ও স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ ও মেয়ে স্বাতী কোবিন্দকে সঙ্গে নিয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে অংশ নিলেন পূজা এবং আরাধনায়। মূল মন্দিরে ঢোকার সময় শাঁখ বাজিয়ে সনাতনী রীতিতে অভিবাদন জানানো হয় ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর পরিবারকে।
জাগো হিন্দু পরিষদ ও রমনা কালী মন্দিরের উপদেষ্টা মিলন শর্মা জানান, রমনা কালী মন্দির ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক আর্মি প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল,হত্যা করা হয়েছিল মন্দিরের তৎকালীন সেবায়েতকে। যেটুকু ধ্বংসাবশেষ ছিল,তাও ১৯৭৩ সালে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সুদীর্ঘ ৫০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আবারো সেই রমনা কালী মন্দির প্রায় পুরনো অবয়বে ফিরে এলো। আমি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরণ করছি ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রয়াত সুষমা স্বরাজকে। ২০১৬ সালে তিনি এই মন্দির পুনরায় তৈরি করার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছা এবং আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া ঐতিহাসিক এই মন্দিরটি পুনরায় তৈরি করা কখনোই সম্ভব হতোনা। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য আজ একটি বড় প্রাপ্তির দিন।