সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে গত ৩১ আগস্ট প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু যখন দেশগড়ার ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছেন, তখনই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা এক জোট হয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এই হত্যার মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালি জাতিকে হাজার বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা বাঙালি জাতিকে হাজার বছর পিছিয়ে দিয়েছে এরা করা। কারা দেশকে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে দিয়েছে এদেরকে চিহৃত করতে হবে। এখনো যারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদেরকে চিহ্নত হবে। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের মায়া না করে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। শুধু স্বাধীনতা এনেই থেমে যাননি, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করার মতো চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন।’

আলোচনা সভার প্রধান বক্তা সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের ভিত্তি ছিল দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা। সব মানবিক গুণাবলির অধিকারী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুই একমাত্র বাঙালি রাজনীতিক যিনি তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের সাথে আপোষ করেননি।

তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে পালিয়ে যাননি। এজন্য তাঁকে ১৪ বছর জেল খাটতে হয়েছে। এজন্যই তাঁর ডাকে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।’

সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের সদস্য দেবাশীষ পাল দেবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাশিয়ার অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জসীম উদ্দীন, মূখ্য আলোচক ডক্টর মাসুম চৌধুরী, সুচিন্তার উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইমরান, বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সুচিন্তা চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সমন্বয়ক আবু হাসনাত চৌধুরী,সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সমন্বয়ক ডা. হোসেন আহম্মদ,সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সমন্বয়ক তপন চক্রবর্তী।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মারুফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সজিবুল ইসলাম, মায়মুন উদ্দীন মামুন, সরওয়ার উদ্দিন জুমা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।