চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন ৩৭ নম্বর মুনির নগর ওয়ার্ডের আগামী চসিক নির্বাচনে জনগণের সেবায় একজন মানবতার সেবক হয়ে দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকতে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা চেয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী সালাউদ্দীন বাবর। তিনি মানবতার সেবক হয়ে দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে নিরলস ভাবে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। সততা,ন্যায় নিষ্ঠা আর শক্ত মনোবল নিয়েই গুটি গুটি পায়ে হেটে চলছেন দেশের উন্নয়ন ও সমাজের পরিবর্তনের পথ ধরে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করার দৃঢ় মনোবল নিয়ে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ৩৭ নম্বর মুনির নগর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অংশগ্রহণ করে ৩৬ বছরের বয়সের এই যুবক।
তিনি স্বপ্ন দেখেন মাদক মুক্ত,সন্ত্রাস মুক্ত,জঙ্গিবাদ ও দূর্নীতি মুক্ত আগামীর বাংলাদেশের। নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠুক নীতি নৈতিকা ও মানবিক মূল্যবোধ মধ্যো দিয়ে তা বাস্তবায়নে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বহু প্রতিকুলতায় পিছ পা হননি কখনও। আপোষহীনভাবে লড়ে যাচ্ছেন সমাজের সব সামাজিক বাধা বিপত্তি আর দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে। খুব অল্প সময়ে এলাকায় ও এলাকার বাহিরে সকলের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন সর্বস্থরে। চলার পথে শুনেন এলাকাবাসীর সুখ- দুঃখ ,আনন্দ-বেদনার কথা,চেষ্টা করেন পাশে থাকার। শুধু তাই নই দলের কোন কর্মীর দুঃ সংবাদ শুনলে কালবিলম্ব না করেই সাথে সাথেই ছুটে যান সেই কর্মীর পাশে।
করোনাকালীন সময় ছাড়াও ক্লান্তিহীন এক যোদ্ধার নাম সালাউদ্দীন বাবর, ইস্পাত কঠোর মনোবল নিয়ে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হয়ে মানুষকে করোনামুক্ত রাখতে ক্লান্তিহীন ছুটে চলেছেন। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ফোন আসা মাত্রই নিজে গিয়েই হাজির । সবাইকে নিরাপদে রাখতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সচেতনতার লক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা লিপলেট বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ। লকডাউনে থাকা পরিবারদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখাসহ এই কঠিন সময়ে এলাকার অসুস্থ রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর কর্মতৎপরতা ব্যাপক প্রশংসিত।
সালাউদ্দীন বাবর জানান, আমরা আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান আমার পিতা মো.শামসুদ্দীন টুনু স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ৩৭ নং মুনির নগর ওয়ার্ডে যে কয়জন আওয়ামীলীগ পরিবার ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদের সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ছিলেন। বিগত দিনে বিএনপি জামায়াত সরকারের আমলে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের নির্যাতন ও অত্যাচারে আমরা আওয়ামীলীগ পরিবারগুলো একের পর এক মামলা,হামলার শিকার হয়েছি।
ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি পিতার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৮ সালে বন্দর থানাধীন ৩৭ নং মুনির নগর ওয়ার্ডের আমরা রাসেল’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক,২০০০ সালে শেখ কামাল স্মৃতি সাংসদের সাবেক সভাপতি,ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের রাজনীতি সাথে জড়িত ছিলেন,চট্টগ্রাম মহানগর খেলাঘর আসরের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক,সাবেক আহ্বায়ক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৩৭ নং মুনির নগর ওয়ার্ড,সাবেক সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর,যুব সংগঠক চট্টগ্রাম মহানগর।
এছাড়া উপদেষ্টা মইনীয়া যুব ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর,সহ-সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া ৩৭ নং মুনির নগর ওয়ার্ড,সদস্য মুন্সি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালা কমিটি,প্রকাশনা সম্পাদক গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ ৩৭ নং মুনির নগর ওয়ার্ড,উপদেষ্টা সিলমুন কিন্ডারগার্ডেন স্কুল,পরিচালক চর্চা শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সদস্য চারু শিল্পী পরিষদ ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সদস্য।
মো.সালাউদ্দীন বাবর ২০০০ সালে নিমতলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি,২০০৪ সালে ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচ এস সি,২০০৮ সালে সরকারি চারুকলা কলেজ থেকে অনার্স ও ২০০৯ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে এম এ পাশ করেন।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সকল উন্নয়নের বার্তা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দ্বারে দ্বারে, দিন-রাত ছুটে চলছেন আওয়ামীলীগ প্রেমী পাগল মানুষটি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ৩৭ নম্বর মুনির নগর ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী হোসেন মুরাদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে। চসিক নির্বাচনে ৩৭ নম্বর মুনির নগর ওয়ার্ডের জনগণের সেবায় একজন মানবতার সেবক হয়ে দুর্দিনে মানুষের পাশে থাকতে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা চেয়েছেন সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা কাউন্সিলর প্রার্থী সালাউদ্দিন বাবর।