আগামী ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম বঙ্গবন্ধু টানেল । প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে বাংলাদেশ – চীনের যৌথ বিনিয়োগে নির্মিত মুল টানেল টির দৈর্ঘ্য ৩.৪ কিলোমিটার। কর্নফুলী নদীর ৪০ মিটার নীচ দিয়ে নদীর দুই অংশে সংযুক্ত হয়েছে। যা উভয় পাশে ৯.৩৩ কিলোমিটার সড়কে শেষ হয়েছে। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে নির্মিত মুল টানেল (কর্নফুলী) নদী পার হতে সময় লাগবে ৩ মিনিট।

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মানের ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজারের দুরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমে আসবে।এই টানেল হবে যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক।

টানেলের ফলে চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিন অংশে গড়ে উঠতে পারে নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল।এক দিকে এই টানেল এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সংযুক্ত হবে অন্য দিকে চট্টগ্রাম শহরের বঙ্গোপসাগর ঘেষে করা (মেগা প্রজেক্ট) রিং রোড হয়ে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে সংযুক্ত হবে।

টানেল থেকে উঠে শহর মুখী আরেকটি মেগা প্রজেক্ট চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে লালখান বাজার ফ্লাইওভারে (প্রায় ১১ কিলোমিটার) চট্টগ্রাম শহরে অল্প সময়ে পৌছে যাবে। যানযট থেকে মুক্তি পাবে চট্টগ্রাম বাসীও দেশী বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

বঙ্গবন্ধু টানেলের আশে পাশে চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য চোখে পড়বে।যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।টানেলটি এক প্রান্তে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত অন্য প্রান্তে পারকি সৈকত হওয়ায় সৈকত যা পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হবে। যা দেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

লেখক
ওয়াহিদ হাসান
রাজনীতিবিদ ও যুব সংগঠক।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।